Computer, Software, Hardware, Mobile, Internet, Website, Social Network, Serial & licence Key, Electronic, Technology, Security, Experienced and Other Tips.
Showing posts with label Lifestyle. Show all posts
Showing posts with label Lifestyle. Show all posts
Wednesday, January 10, 2018
বিজ্ঞানীদের দাবি, দিনে ৮ ঘণ্টার ঘুম দরকার
কাজের মধ্যে ঢুবে থাকেন অথছ ঘুমাচ্ছেন কম। মনে করছেন সব ঠিক রয়েছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে আপনি জটিল অসুখের শিকার হয়ে যাচ্ছেন! কেজো লোকজন বা যারা অফিস ছুটির পরও মগজে ফাইল পুরে বাড়ি ফেরেন তাঁরা সাবধান! সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের দাবি, দিনে ৮ ঘণ্টার কম ঘুম আপনাকে ডিপ্রেসন ও অ্যাংজাইটির দিকে ঠলে দিতে পারে। শুধু তাই নয় নিয়মিত ঘুমে ব্যাঘাতও আপনার মনঃসংযোগ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। আর ৯ ঘণ্টা যারা কাজ করেন, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রে এটাই হয়ে থাকে।
বিনগামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেরেডিথ কোলের দাবি, সাধারণত মানুষের একটা প্রবণতা হল কোনও একটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করে যাওয়া। এর মধ্যে কিছু নেগেটিভ চিন্তাও থাকে। এইসব চিন্তাগুলিই অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশনের মতো জটিল সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
সায়েন্স ডাইরেক্ট জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা অনুযায়ী, সময় ও প্রয়োজনমতো ঘুম মানুষের মস্তিস্ক থেকে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কেউ ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটির শিকার হলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রধান কাজই হল ঘুমতে যাওয়ার সময় ও ঘুমের সময় বেঁধে দেওয়া। ফলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার আগে ঘুমের সময় ও পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।
Friday, January 5, 2018
খুব চুল ঝরছে ? শ্যাম্পু-কন্ডিশনার থেকে এটা কাজ দেবে বেশি
ছোটবেলা থেকে তো শুনে এসেছেন মুখের রুচি ফেরাতে পেয়ারা দারুণ কাজ করে ৷ আবার এটাও শুনেছেন দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে, দাঁত থেকে কালো ছোপ দূর করতে পেয়ারা পাতা বা পেয়ারার ডালের বিকল্প নেই ৷ মা-ঠাকুমার কাছে এমনটাও শোনা পেয়ারার ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে, দাঁতের ক্ষয়-ক্ষতি দূর হয় ৷ এমনকী, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে নিলে, খুব সহজেই স্বস্তি পাওয়া যায় ৷ এগুলো শুনেছেন, কাজেও লাগিয়েছেন ৷ কিন্তু আপনারা কী জানতেন এই পেয়ারা পাতা চুল পড়া বন্ধ করতে পারে ৷ এমনকী, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে পেয়ারা পাতা !
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিউটিশিয়ানদের গবেষণার মধ্যে এরকমই তথ্য এসেছে ৷ শুধু বিউটিশিয়ান নয়, আয়ূবেদের চিকিৎসকরাও একথা স্বীকার করেছেন, যে পেয়ারা পাতার মধ্যে এমন প্রাকৃতিক গুণ রয়েছে যা চুলের পক্ষে খুব ভাল ৷
চিকিৎসকরেদর মতে, পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৷ যা চুলের গোড়া শক্ত করতে দারুণ কাজ দেয় ৷ এমনকী, নতুন চুল গজাতেও কাজে আসে পেয়ারা ৷ তবে চিকিৎসকরা বলছেন, পেয়ারা খান ৷ বরং চুলের ক্ষেত্রে কাজে লাগান পেয়ারা পাতা !
কীভাবে কাজে লাগাবেন পেয়ারা পাতা ?
একটি পাত্রে জল নিয়ে বেশ কয়েকটা পেয়ারা পাতা নিয়ে দিয়ে দিন ৷ ২০ মিনিটের মতো, পেয়ারা পাতা দেওয়া জলকে ফুটিয়ে নিন ৷ জল ফুটে গেলে পেয়ারা পাতার কাৎ তৈরি হবে ৷ ঠান্ডা করে চুলে ও স্কাল্পে লাগিয়ে নিন ৷ দু থেকে তিনঘণ্টা মাথায় রাখুন ৷ রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে পেয়ারার কাৎ মাথায় মাখলে বেশি কাজ দেবে ৷ তাই দ্রুত ফল পেতে, এটা ব্যবহার করুন রাতেই ৷
চিকিৎসকরা বলছেন, পেয়ারা পাতা শুধু চুল পড়া নয়, চুলের গ্রোথ বাড়াতে, চুলকে সুন্দর করে তুলতে, এমনকী অকালপক্কতা দূর করতেও পেয়ারা কাজে দেয় বেশি ! তাই বিউটি পার্লারে গিয়ে টাকা খরচ না করে নিয়মিত পেয়ারা পাতা মাথায় মাখুন !
জানেন শীতকালে গায়ে রোদ লাগালে কী হয়?
১. ইমিউন সিস্টেম যত শক্তিশালী হবে, তত নানাবিধ সংক্রমক রোগ দূরে থাকবে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে। এই কাজটি করতে প্রতিদিন সকালে কিছু সময় সূর্যের আলো গায়ে লাগতে দিন। এতে শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকা এবং গামা গ্লোবিউলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
২. রোদে কিছু সময় হাঁটলে কী হয় জানেন? খুব ঘাম হতে থাকে। সেই সঙ্গেও পিপাসাও পায়। আর তখন আমরা লিটার লিটার জল খেয়ে থাকি। যত বেশি করে জল খাই, তত বেশি বেশি প্রস্রাব হয়। ফলে শরীরের অন্দরে জমে থাকা টক্সিন বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ঘামের মাধ্যমে ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লাও বেরিয়ে যায়। ফলে ত্বক এবং শরীর, উভয়ই সুন্দর হয়ে ওঠে। তবে তাই বলে ঘন্টার পর ঘন্টা রোদে হাঁটবেন না যেন, শরীর খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু!
৩. টানা চার সপ্তাহ অল্প সময়ের জন্য সূর্যের আলো গায়ে লাগালে সোরিয়াসিসসহ একাধিক ত্বকের রোগ সেরে যায়। তবে বেলা ১২টার আগে এই কাজটা করবেন। কারণ বেলা বাড়লে রোদের তেজও বেড়ে যায়। ফলে এমন সময় সূর্য়ের আলো গায়ে লাগাতে কষ্ট হতে পারে।
৪. ব্রেস্ট, কোলোন এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে সূর্যের আলোর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করে ফেলতেও সূর্যের আলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে বেলা বাড়ার পর বেশিক্ষণ সূর্যের নিচে কাটালে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই যতটা পারবেন সকাল বেলা সূর্য়ের আলো গায়ে লাগানোর চেষ্টা করবেন।
৫. যারা অনিদ্রায় ভুগছেন, তারা কাল থেকেই রোদ লাগানো শুরু করুন গায়ে। এমনটা করলে দেখবেন রাতে ঘুম না আসার সমস্যা দূর হবে। আসলে সূর্যের আলো চোখে লাগা মাত্র অপটিকাল নার্ভ মারফত আমাদের মস্তিষ্কে একটি বিশেষ সিগনাল যায়, যা মেলাটোনিন রাসায়নিকের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই রাসায়নিকের ক্ষরণ যত বাড়তে থাকে, তত ঘুমে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৬. একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে সূর্য়ের আলো গায়ে লাগলে আমাদের মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা নিমেষে মনকে ভাল করে দেয়। সেই সঙ্গে শারীরিক ক্লান্তিও দূর করে।
৭. বিশ্বের নানা প্রান্তে হওয়া একাধিক গবেষণা একথা প্রমাণ করেছে যে সূর্যের আলো রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। আর একথা তো সকলেরই জানা আছে যে কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন সকালে রোদ গায়ে মেখে ১ ঘন্টা বাইরে বসে থাকুন। তাহলেই দেখবেন হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। সেই সঙ্গে নানাবিধ হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
8. লোহিত রক্ত কণিকা বেশি বেশি করে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত শরীরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিয়ে শরীরকে যাতে চাঙ্গা রাখতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে সূর্যালোক। কিছু সময় রোদে কাটালে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে দেহের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৯. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায়: সূর্যালোক মস্তিষ্কে একাধিক উপকারি কেমিকেলের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধির পাশাপাশি মস্তিষ্কের সার্বিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, যাদের পরিবারে ডিমেনশিয়া বা অ্যালজাইমারের মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের প্রতিদিন কিছুটা সময় সূর্যের সঙ্গে কাটানো উটিত। এমনটা করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়!
Saturday, December 30, 2017
আয়ুর্বেদ বলছে, কখন, কীভাবে জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে?
পরিমিত জল না খেলে শরীর সুস্থ থাকে না। জেনে নিন জল খাওয়ার নিয়ম।
মানুষের শরীরে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই জল। পরিমিত জল না খেলে ক্ষতি হতে পারে শরীরের। সাধারণত, ৮ গ্লাস জল খাওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখা থেকে হজমে সাহায্য করে জল। আয়ুর্বেদে জল খাওয়ার ব্যাপারে কিছু নিয়ম রয়েছে।
- এক ঢোঁকে অনেক পরিমাণ জল খাবেন না। আস্তে আস্তে জল পান করুন। ঠিক যেভাবে একটু একটু করে খাবার খান।
- তৃষ্ণার্ত হলে শরীর সংকেত দেয়। একটা ইঙ্গিত, আপনার প্রস্রাবের রং। এর পাশাপাশি ঠোঁট শুকিয়ে গেলেও বুঝতে হবে আপনি তৃষ্ণার্ত।
- দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জল খাবেন না। তা শরীরের জলীয় ভারসাম্যকে নষ্ট করে। এতে আর্থারাইটিসের সমস্যা হতে পারে। তাড়াহুড়ো না করে বসে জল খান। এতে আপনার স্নায়ুতন্ত্রে ঠিক থাকবে। হজমের সমস্যাও থাকবে না।
- ইষদুষ্ণ জল শরীরের পক্ষে ভাল। আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
-সকালে ঘুম থেকে উঠেই জল খান। এতে শরীরের টক্সিন বাইরে চলে যাবে। পরিস্কার থাকবে কিডনিও। প্রথমে দু'কাপ জল খান। পরে আরও জল খান। সকালে বেশি পরিমাণ জল খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
Thursday, December 28, 2017
নলেন গুড়েই রয়েছে রোগা হওয়ার চাবিকাঠি, জানেন কি?
শরীরে হালকা হিমের পরশ। জয়নগরের মোয়া আর নলেন গুড়ের স্বাদ। বর্ষশেষে শীতের মজা নিতে শুরু করেছে বঙ্গবাসী। এইসময়ে রোজ খাবার শেষ পাতে নলেন গুড় যেন মধুর স্বাদ আনে জিভে। কিন্তু জানেন কি নলেন গুড়ের কী কী উপকারিতা?
গুড় হজম-শক্তি বাড়ায়। এছাড়া পেটও পরিষ্কার করে গুড়। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভোগেন, তাঁদের গুড় রাখা উচিত ডায়েটে, জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা। গুড়ে আয়রন থাকে। অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী গুড়। গুড়ে ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে যা স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখতে কার্যকরী। এছাড়াও গুড়ে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
গুড় তাড়াতাড়ি হজম করায় কারণ তাতে প্রচুর পরিমাণের কার্বোহাইড্রেট থাকে। সারাদিন নিজেকে তরতাজা রাখতে গুড় খান। গুড় খেলে শরীরে প্রচুর এনার্জি তৈরি হয়। সর্বোপরি, গুড় খেলে ওজন কমে। গুড়ে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম থাকে। এর ফলে শরীরের মেদও ঝড়ে।
Monday, December 25, 2017
পুষ্টি বিচারে কয়েত বেলের জুড়ি মেলা ভার জানেন কি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হেলাফেলার এই কয়েত বেল কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, আমলকি, আনারসের চেয়েও বেশি উপকারি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কয়েত বেল কিডনি সুরক্ষিত রাখে। লিভার ও হার্টের জন্যও উপকারি।
হজমের সমস্যা? সুগারে কুপোকাত? ওষুধের লম্বা লিস্ট নিয়ে দোকানে ছুটছেন? কয়েত বেল খান। ওষুধের খরচ কমান। কয়েত বেলের গুণ অশেষ।
নুন, লঙ্কা দিয়ে কয়েত বেল মাখা। টক, ঝালে মাখামাখি। স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয়। পুষ্টি বিচার করলে কয়েত বেলের জুড়ি মেলা ভার।
১০০ গ্রাম কয়েত বেলে রয়েছে ২.২ গ্রাম মিনারেল, ফ্যাট ০.১ গ্রাম, শর্করা ৮.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫.৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন B ০.৮০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন C ১৩ মিলিগ্রাম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হেলাফেলার এই কয়েত বেল কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, আমলকি, আনারসের চেয়েও বেশি উপকারি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কয়েত বেল কিডনি সুরক্ষিত রাখে। লিভার ও হার্টের জন্যও উপকারি। কয়েত বেলের ট্যানিন দীর্ঘদিনের ডায়েরিয়া ও পেট ব্যথা ভাল করে। কলেরা ও পাইলসের প্রতিষেধক। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশায় কয়েত বেল উপকারি। পেপটিক আলসারে কয়েত বেল ভাল কাজ করে। ডায়াবেটিসে ভাল কাজ দেয় কয়েত বেল। রক্ত পরিষ্কার করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। শরীরের শক্তি বাড়ে। সর্দি-কাশিতে কয়েত বেলের জুড়ি মেলা ভার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, স্নায়ুর শক্তি বাড়ায়। ফুসফুসের চিকিত্সায় কয়েত বেলের কার্যকরী ভূমিকা। মহিলাদের হরমোনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা কমায়। স্তন ও জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধ করে কয়েত বেল। কাঁচা কয়েত বেলের রস মুখে মাখলে ব্রণ ও মেছেতার সমস্যা কমে।
হজমের সমস্যা? সুগারে কুপোকাত? ওষুধের লম্বা লিস্ট নিয়ে দোকানে ছুটছেন? কয়েত বেল খান। ওষুধের খরচ কমান। কয়েত বেলের গুণ অশেষ।
নুন, লঙ্কা দিয়ে কয়েত বেল মাখা। টক, ঝালে মাখামাখি। স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয়। পুষ্টি বিচার করলে কয়েত বেলের জুড়ি মেলা ভার।
১০০ গ্রাম কয়েত বেলে রয়েছে ২.২ গ্রাম মিনারেল, ফ্যাট ০.১ গ্রাম, শর্করা ৮.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫.৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন B ০.৮০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন C ১৩ মিলিগ্রাম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হেলাফেলার এই কয়েত বেল কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, আমলকি, আনারসের চেয়েও বেশি উপকারি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কয়েত বেল কিডনি সুরক্ষিত রাখে। লিভার ও হার্টের জন্যও উপকারি। কয়েত বেলের ট্যানিন দীর্ঘদিনের ডায়েরিয়া ও পেট ব্যথা ভাল করে। কলেরা ও পাইলসের প্রতিষেধক। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশায় কয়েত বেল উপকারি। পেপটিক আলসারে কয়েত বেল ভাল কাজ করে। ডায়াবেটিসে ভাল কাজ দেয় কয়েত বেল। রক্ত পরিষ্কার করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। শরীরের শক্তি বাড়ে। সর্দি-কাশিতে কয়েত বেলের জুড়ি মেলা ভার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, স্নায়ুর শক্তি বাড়ায়। ফুসফুসের চিকিত্সায় কয়েত বেলের কার্যকরী ভূমিকা। মহিলাদের হরমোনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা কমায়। স্তন ও জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধ করে কয়েত বেল। কাঁচা কয়েত বেলের রস মুখে মাখলে ব্রণ ও মেছেতার সমস্যা কমে।
Saturday, December 23, 2017
গুড় না চিনি, গুণে এগিয়ে কে?
ফ্লু সারায় গুড়। কাশি, ঠান্ডা লেগে নাক দিয়ে জল পড়া, মাইগ্রেন, পেট ফাঁপার মতো রোগে উপকারি গুড়। হালকা গরম জলে অল্প গুড় মিশিয়ে সেই জল খেলে উপকার। বা চায়ে চিনির বদলে গুড় দিয়ে খেলে উপকার।
চিনি না গুড়, বিতর্ক চিরকালের। শীতের ব্রেকফাস্টে চিনি দিয়ে রুটি খাবেন নাকি নলেন গুড়ে ডুবিয়ে, তা ঠিক করবেন খাদ্যরসিকই। তবে, সতর্ক থাকতে হবেই। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু চিনি ছাড়া কি চা চলে?
চিনির চেহারা ভদ্রলোকের মতো শুভ্র ও পবিত্র। আর গুড়ের চেহারায় কোনও কৌলীন্য নেই। তাই গুড়ের চেয়ে চিনিই বেশি সমাদৃত। চিনি তৈরি হয় আখের রস থেকে। আর গুড় হয় সাধারণ আখের রস বা খেজুর রস জ্বাল দিয়ে।
চিনিতে রয়েছে সুক্রোজ নামে শর্করা। আর গুড়ে সুক্রোজের সঙ্গে থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লোহা। সেই সঙ্গে সামান্য প্রোটিনও থাকে গুড়ে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, উপকারের প্রশ্ন উঠলে এগিয়ে থাকবে গুড়।
চিনির চেয়ে কেন এগিয়ে গুড়?
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ। শরীরে হজমের এনজাইমের কার্যকারিতা বেড়ে যায় গুড় খেলে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁরা লাঞ্চ বা ডিনারের ২০ মিনিট পর অল্প গুড় খেয়ে নিতে পারেন।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে। গুড়ে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ফলে, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। লিভার পরিষ্কার রাখে। ১৫দিন অন্তর অল্প পরিমাণ গুড়। শরীরের থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়।
ফ্লু সারায় গুড়। কাশি, ঠান্ডা লেগে নাক দিয়ে জল পড়া, মাইগ্রেন, পেট ফাঁপার মতো রোগে উপকারি গুড়। হালকা গরম জলে অল্প গুড় মিশিয়ে সেই জল খেলে উপকার। বা চায়ে চিনির বদলে গুড় দিয়ে খেলে উপকার।
প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম কমায়। পিরিয়ডসের আগে অল্প পরিমাণ গুড়। এন্ড্রোফাইন বা হ্যাপি হরমোন বেরিয়ে শরীরকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গুড়ে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, জিঙ্ক আর সেলেনিয়ামের মতো মিনারেল। ফলে, শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ রোধ করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গুড়ে থাকে প্রচুর ক্যালরি। তাই যাঁদের ডায়াবেটিস আছে বা যাঁরা ওজন কমাচ্ছেন, তাঁদের গুড় না খাওয়াই ভাল। বা খেলেও পরামর্শ নিতেই হবে চিকিত্সকদের।
Friday, November 24, 2017
কোন গাছ পুঁতলে বাড়ি থেকে পোকামাকড় দূর হবে জেনে নিন
শীতকাল হোক কিংবা গরমকাল অথবা বর্ষাকাল, পোকামাকড়ের কারণে আমাদের সবাইকেই বেশ ভুগতে হয়। মশার কারণে জ্বর, এছাড়া বিভিন্ন পোকামাকড়ের কারণে আমাদের বিভিন্ন রোগ দেখা যায়। অনেক চেষ্টা করেও বাড়ি থেকে কিছুতেই পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে পারছেন না? তাহলে জেনে নিন, বাড়িতে কোন কোন গাছ পুঁতলে পোকামাকড় আপনার ধারেকাছেও ঘেঁষবে না।
১) গাঁদা ফুলের গাছ- শীতকাল আসলে প্রায় প্রত্যেকেই বাড়িতে গাঁদা ফুলের গাছ পুঁতে থাকি। গাঁদা ফুল দিয়ে ঘর সাজাই। পুজোর কাজেও এই ফুল ব্যবহার করি। কিন্তু আপনার যদি মনে হয় যে, গাঁদা ফুল শুধুমাত্র সৌন্দর্যের কারণেই ব্যবহার করা হয়, তাহলে ভুল ভাবছেন। গাঁদা ফুল গাছের উপকারিতা অনেক। এই গাছে এমন কিছু উপাদান থাকে, যার ফলে এই গাছের কাছে মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড় আসতে পারে না। তাহলে বাড়ি থেকে মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড় দূর করতে অবশ্যই গাঁদা গাছ বসান।
২) বেসিল পাতা- খাবারে স্বাদ বাড়াতে আমরা বেসিল পাতা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ বাড়ানোই নয়, মশা-মাছি দূর করতেও সাহায্য করে এই গাছ।
৩) পুদিনা পাতা- খাবারে নিশ্চয় কখনও কখনও পুদিনা পাতা ব্যবহার করে থাকেন? কিন্তু খাবারের বাইরেও এর আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। পুদিনা পাতার গন্ধ মশা দূর করতে সাহায্য করে।
Sunday, October 1, 2017
কীভাবে বুঝবেন শরীরে খাবারের ঘাটতি রয়েছে আপনার?
অফিস, বাড়ি, জিম বা অন্য কোথাও। প্রতিদিন বিভিন্ন রকম খাবারের উপরে নির্ভর করতেই হয় আপনাকে। কিন্তু, অফিসের তাড়ায় কখনও ভাল করে ব্রেকফাস্টটা করা হয় না। আবার কখনও কাজের চাপে দুপুরের খাবারটাও ভাল করে খেতে পারেন না। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদিন যেভাবে আপনার খাবারে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, তাতে ওজন না কমলেও শরীরে কিন্তু বিভিন্ন রকম সমস্যা আপনার থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু, কীভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে খাবারের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে?
প্রতিদিন যদি অধিক পরিমাণে আপনার চুল পড়া শুরু করে, তাহলে বুঝতে হবে খাবারের ঘাটতি রয়েছে।
যখন আপনার ব্লাড প্রেসার লেভেল হঠাত করে যদি নামতে শুরু করে কিংবা কখনও বেড়ে যেতে শুরু করে, তাহলেও বিপদ। অর্থাত, শরীরে খাবারের ঘাটতি থাকলে আপনার বিপি কখনও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে না।
অল্পেতেই যদি আলসেমি লাগে। অর্থাত, কোনও কাজে এনার্জি না পান, তাহলে বুঝতে হবে, শরীরে খাবারের প্রয়োজন আছে।
সব সময় ঠান্ডা লেগে থাকলেও, শরীরে খাবারের অভাব রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। অর্থাত সব সময় সর্দি, কাশি কিংবা জ্বরে ভুগতে শুরু করেন, তাহলে বিপদ।
কারও না কারও উপর যদি সব সময় রাগ হয়, মেজাজ বিগড়ে থাকে, খিটখিটে হয়ে যান, তাহলে সাবধান। মেজাজ সব সময় বিগড়ে থাকলে শরীরে খাবারের অভাব রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
অনেক চেষ্টা করেও যদি মা হতে না পরেন, তাহলেও শরীর খারাপ হচ্ছে বলে ধরে নিতে হবে। অর্থাত, শরীরে খাবারের ঘাটতি থাকলেও অনেক সময় নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয় মা হওয়ার ক্ষেত্রে। তবে এ ক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
কম খাচ্ছেন, এটা বোঝার অন্যতম উপায় হল, কনস্টিপেশনে ভুগতে শুরু করা। মলত্যাগে কষ্ট হতে শুরু করলে, বুঝতে হবে, আপনি কনস্টিপেশনে ভুগছেন। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত খাবার খেয়ে, ঘাটতি মেটাতে হবে।
এ সব ক্ষেত্রেই আরও বেশি করে সবুজ শাক সবজি খান। বেশি করে ফল খান এবং ডায়েট চার্ট অনুযায়ী সঠিক উপায়ে খাওয়াদাওয়া করুন। প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
Tuesday, September 26, 2017
চুল পেকে যাচ্ছে? এই পদ্ধতিতেই মাস খানেকের মধ্যে পান সমাধান
অল্প বয়সে যদি চুল পাকা শুরু হয় সেক্ষেত্রে ঘরের বাইরে, অফিস কিংবা বন্ধু-মহলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় প্রায়ই। পরিসংখ্যান বলছে ৩০ বছর বা তার কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার পিছনে অতিরিক্ত চিন্তাই বেশি দায়ী। তবে এসব সমস্যায় ঘরোয়া কিছু সমাধান রয়েছে। যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে…
আমলকী- একটা বাটিতে অল্প করে নারকেল তেল এবং কয়েক টুকরো আমলকী নিয়ে গরম করুন। তারপর সেই তেলটা ধীরে ধীরে সারা চুলে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন কয়েক মিনিট। আমলকীতে উপস্থিত বিশেষ কিছু উপাদান পিগমেন্টের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। সাদা চুল কালো হতে শুরু করে।
আদা- এক চামচ মধুর সঙ্গে পরিমাণ মত আদা মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটা পেস্ট। প্রতিদিন চুলে লাগান। চুলকে দীর্ঘসময় কালো রাখতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে।
নারকেল তেল- এর তো কোনও বিকল্পই নেই। একটা বাটিতে পরিমাণ মত নারকেল তেল এবং লেবুর রস নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রনটা স্কাল্পে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। এতে চুল তো পাকেই না। সেই সঙ্গে ফিরে আসবে চুলের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্যও।
হেনা- বাটিতে দুই চামচ হেনা পাউডার, এক চামচ মেথি বীজ, দুই চামচ তুলসি পাতার পেস্ট, তিন চামচ কফি পাউডার, তিন চামচ মিন্ট পাতার জুস এবং এক চামচ টক দই মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি প্রতিদিন চুলে লাগাতে শুরু করুন। নিয়মিত এটা করলে সাদা চুল আর থাকবে না।
নিম তেল- নিম তেলে চুলের একাধিক সমস্যার সমাধান করে। চুল পড়া ও সাদা চুলের সংখ্যা কমাতেও বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।
Tuesday, August 22, 2017
রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী কি খাবেন আর কি খাবেন না জেনে নিন
রক্তের ধরন অনুযায়ী খাবার খেলে হজম ভালো হয়, এনার্জি আরও বাড়ে, বিভিন্ন রোগ এবং অসুস্থতা প্রতিরোধ করা যায়। এমনকী ওজনও কমানো সম্ভব হয়। এমনটাই মনে করছেন বিভিন্ন ডায়েটিশিয়ানরা। তাঁদের মতে আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী কী কী খাবার খাবেন আর কী কী খাবার খাবেন না, তা অবশ্যই মনে রাখা দরকার। জেনে নিন কোন রক্তের গ্রুপের মানুষ কী কী খাবেন আর কী কী এড়িয়ে চললে ভালো হয়।
১) ব্লাড গ্রুপ: O-
খাবেন- মাছ, মাংস, ডিম, লেটুস, ব্রকোলি, পেঁয়াজ, কুমড়ো, আদা, রসুন, চেরি, রসপারবেরি, ক্র্যানবেরি, গুসবেরি, ডিমের সাদা অংশ, মুরগির মাংস, স্যান্ডউইচ, ধোকলা, কুলচা, ধোসা, ইডলি প্রভৃতি।
এড়িয়ে চলুন- পালং শাক, বাঁধাকপি, ভুট্টা, ফুলকপি, মাশরুম, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, নারকেল, কড়াইশুঁটি, পিনাট বাটার।
২) ব্লাড গ্রুপ: A-
খাবেন- ভাত, ওটস, পাস্তা, কুমড়ো, বাদাম, অ্যাপ্রিকট, লেবু, কিশমিশ, ব্রাউন রাইস, গমের পাস্তা, সোয়া, ব্রাউন পোহা প্রভৃতি।
এড়িয়ে চলুন- কলা, নারকেল, পেঁপে, কাজু, পেস্তা, বিয়ার, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম।
৩) ব্লাড গ্রুপ: B-
খাবেন- সবুজ শাক-সবজি, ডিম, লো ফ্যাট ডেয়ারি প্রোডাক্ট, ওটস, দুধের তৈরি খাবার, অ্যানিম্যাল প্রোটিন, পনীর, মাছ, ওট মিল।
এড়িয়ে চলুন- ভুট্টা, টমেটো, বাদাম, তিল, গম, মুরগির মাংস।
৪) ব্লাড গ্রুপ: AB-
খাবেন- তোফু, সি ফুড, দই, ছাগলের দুধ, ডিম, আখরোট, ওটস, ব্রকোলি, ফুলকপি, বিট, শশা, বেরি, ভাত-ডাল, রুটি-ডাল, ডালিয়া, খিচুড়ি, ব্রাউন রাইস।
এড়িয়ে চলুন- কফি, অ্যালকোহল, হোল মিল্ক, ভুট্টা, নারকেল, কলা, আম, ব্ল্যাক টি।
Saturday, August 19, 2017
ঘুমানোর আগে রোজ রাতে এই কাজটি করুন, আপনার সাফল্য ঠেকায় কে!
জীবনে সফল হতে কে না চায়? কিন্তু কে জীবনে সফল হবেন, আর কে আমৃত্যু পড়ে থাকবেন ব্যর্থতার অন্ধকারে, তা কি আগে থেকে বলা সম্ভব? লাইফস্টাইল কোচ আর্থার কোর্তিয়ের বলছেন, সম্ভব।
আর্থারের দাবি, পৃথিবীর অধিকাংশ সফল মানুষই রোজ রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এই বিশেষ কাজটি করে থাকেন। কী সেই কাজ? আর্থারের সমীক্ষার ফল বলছে, সেই কাজ হল বই পড়া।
ঠিক কী ভাবে বই পড়ার অভ্যাস এক জন মানুষকে সফল হতে সাহায্য করে?
আর্থারের ব্যাখ্যা, আসলে বই মানুষের জ্ঞান, চিন্তাশক্তি, বিবেচনা বোধ বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে বাড়ায় মনঃসংযোগের ক্ষমতাও। এই সমস্ত মানসিক ক্ষমতা মানুষের সাফল্যের পথে বড় মূলধন হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি বই মানুষের মানসিক ও শারীরিক রিল্যাক্সেশনেরও বড় মাধ্যম। সারাদিন পরিশ্রমের শেষে বিছানায় শোওয়ার আগে কিছু ক্ষণ বই পড়ার অভ্যাস সারাদিনের ক্লান্তি ও গ্লানি দূর করতে অনেকখানি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
যে কোনও মানুষই কি রাত্রে ঘুমনোর আগে বই পড়লে সফল হতে পারবেন?
আর্থার বলছেন, গ্যারান্টি দিয়ে বলা না গেলেও নিয়মিত রাত্রিকালীন গ্রন্থপাঠ সাফল্যের সম্ভাবনা অনেকখানি বাড়াবে। কী ধরনের বই পড়তে হবে? আর্থারের উত্তর, যে কোনও বই মানুষের মানসিক দক্ষতা বাড়ায়।
Tuesday, August 15, 2017
নিজেকে আরও স্মার্ট বানাতে চান? জেনে নিন এই টিপসগুলো
রাতারাতি স্মার্টনেস বাড়ানো যায় না। তার জন্য নিজেকে সেইভাবে তৈরি করতে হয়। কিছু শিখতে হয়।যদি আপনি নিজেকে ততটা স্মার্ট মনে না করেন, তাহলে জেনে নিন এই টিপসগুলো..
অনেকেই সিগারেট বা চুরুটকে স্মার্টনেসের প্রতীক ভাবেন। অনেকে মদ্যপান দ্বারাও নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এটা একেবারেই ভুল। কোনও কিছুর প্রতি আসক্তি পুরুষ অথবা নারীর স্মার্টনেসে ধাক্কা দেয়। কোনও কিছুর উপরে নির্ভরতা কমায় আত্মবিশ্বাস। আর আত্মবিশ্বাসই তো আসল স্মার্টনেস।
এই শেখাটা মন থেকে শিখতে হবে। নতুন কোনও শব্দ, নতুন কোনও তথ্য আপনাকে প্রতিদিন জানতে হবে। শুধু জানলেই হবে না, সেগুলো ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগাতে হবে। কোনও শব্দ শিখলে দিন কমপক্ষে তিনবার তিন জনের সঙ্গে কথাবার্তায় সেটা ব্যবহার করুন।
আপনার কি কোনও বিশেষ শখ আছে? যদি না থাকে, তবে এখনই কোনও শখে মেতে পরুন। ফুলের বাগান থেকে ডাকটিকিট জমানো— যা খুশি করুন। এটা কোনও একটা বিশেষ পছন্দের জগৎ তৈরি করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আত্মবিশ্বাসী মানুষই স্মার্ট।
কোনও কিছুই একদিনে হয় না। আপাতত শুরু করুন ছোটদের ক্রসওয়ার্ড বা শব্দের খেলা দিয়ে। পাজল ভিডিও গেমসও উপকারে আসবে।
সব সময় পজিটিভ ভাবুন। নেগেটিভ ভাবনা, অপরের সম্পর্কে নেগেটিভ আলোচনা, এমনকী নেগেটিভ আলোচনার মধ্যে থাকাও স্মার্টনেস কমিয়ে দেয়। আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। নিয়মিতভাবে একটা পজিটিভ আবহে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
তবে মনে রাখবেন, ‘স্মার্টনেস’ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। অতএব, স্থান ও কাল বুঝেই করবেন।
Wednesday, August 9, 2017
প্রথমবার মা হওয়ার জন্য সঠিক বয়স কোনটা? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত
একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত, মেয়েদের ২০ বছরের মধ্যেই প্রথমবার সন্তানধারণ করা উচিত। কিন্তু সময় বদলাচ্ছে। আর সেই বদলানো সময়ে চিকিৎসকরা মনে করছেন, ২০ বছর নয়, বরং আরও একটু দেরি করে মা হওয়াই নিরাপদ। সেটা যেমন মায়ের জন্য ভালো, তেমনই সন্তানের জন্যও নিরাপদ। তবে খুব বেশি দেরি না করাই মঙ্গল। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের জননক্ষমতা কমে যেতে থাকে এবং গর্ভকালীন নানা জটিলতার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই, চেষ্টা থাকা উচিত, যাতে ৩০ পার হওয়ার আগেই অন্তত প্রথমবার গর্ভধারণ করা যায়।
সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ৩০ পেরিয়ে গেলে প্রজনন ক্ষমতা ৫০ শতাংশ কমে যায় এবং বয়স ৩৫ অতিক্রম করলে এই হার কমে যায় আরও ৩০ শতাংশ। তবে একটি সন্তান জন্ম নেওয়ার পরে এই ঝুঁকি কমে যায়। তিরিশের পরে সন্তানের জন্ম দিলে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলেও প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। তাই সতর্ক থাকা দরকার।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই মেয়েদের প্রথমবার মা হওয়ার জন্য আদর্শ সময়। আগে বা পরে হলেই বিপদের ভয়। দেরি করে সন্তান নিলে, চর্বি জমে ফ্যালোপাইন টিউব বন্ধ হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
Saturday, July 29, 2017
সুস্থ শরীর পেতে দারুচিনি ব্যবহার
ওজন বাড়ছে? কোলেস্টেরল বাড়ছে? হার্টের রোগের দিকে এগোচ্ছেন? ঘরোয়া টোটকা দারুচিনি। ইনসুলিন, কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকবে। সকালে মধু দিয়ে দারুচিনি বা দারুচিনি চায়ের জবাব নেই।
স্বাভাবিক পরিবেশে এই গাছের উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায়। ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, চিনেও প্রচুর উত্পাদন। গাছের চামড়া মশলা হিসাবে বৃবহৃত। এর ছালে থাকে সিনামাল ডিহাইড। অপূর্ব গন্ধের জন্য দায়ী। পাতায় থাকে ইউজিনল। দারুচিনিতে থাকে সামান্য প্রোটিন। কিন্তু এতে রয়েছে প্রচুর মিনারেল ও ভিটামিন।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ
টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি খুব উপকারি। কারণ, এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
দেহের রক্ত তরল থাকতে সাহায্য করে দারুচিনি। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে দারুচিনি। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বাতের ব্যথা কমায়
দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ। মজবুত হাড়, রক্ত ও দেহের অন্যান্য টিস্যু গঠনে সাহায্য করে। বাতের ব্যথায় দারুচিনির তেল বা চা উপকারি। ব্যথা কমাতে দারুচিনি ও মধু দারুণ কাজ করে। হাড়ের জোড়ায় ব্যথা হলে হালকা গরম জলে ১ চামচ মধু ও দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় আস্তে আস্তে মালিশ করলে ব্যথা কমবে।
ক্ষত সারায়
পৃথিবীর সেরা ৭ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দারুচিনি। শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এই মশলা কার্যকর।
ক্যানসার প্রতিরোধক
গ্যাস্ট্রিক আলসার, মেলানোমা বা ত্বকের মেলানিন কোষ মিলে যে টিউমার হয়, তার সম্ভাবনা কমায় দারুচিনি। লিউকোমিয়া ও লিমফোমা ক্যানসারের কোষগুলির প্রভাব কমায়।
খাদ্য-বিষক্রিয়া রোধ
খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে দারুচিনি খেলে উপকার পাওয়া যায়। পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস দমন করে। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসাবে কাজ করে। দারুচিনি ও মধু পেটে ব্যথা কমায়। অ্যাসিডিটি দূর করে। রাতে শোওয়ার আগে দারুচিনির সঙ্গে হরীতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।
Sunday, July 16, 2017
জেনে নিন কীভাবে ঠোঁট গোলাপি রাখবেন
এই সমস্যাটা প্রায় প্রত্যেকেরই হয়ে থাকে। আপনারাও নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, ঠোঁট ক্রমশ কালো এবং অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ছে। যদিও আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন, নিয়মিত ডায়েট মেনে চলছেন, ব্যায়াম করছেন। তবুও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। তাহলে জেনে রাখুন এমন কিছু ঘরোয়া উপায়, যাতে আপনি আপনার ঠোঁটে আবার আগের মতো গোলাপি এবং উজ্জ্বল ভাব ফিরে পাবেন।
১) সপ্তাহে একদিন করে ন্যাচারাল লিপ স্ক্রাবার ব্যবহার করুন। এর ফলে ঠোঁটের মরা কোষগুলো রিমুভ হয়ে যায়। এই লিপ স্ক্রাবার আপনি ঘরেও তৈরি করে নিতে পারেন। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে একটু চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। এরপর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে লিপ ময়েশ্চারাইজার লাগান।
২) ত্বকের কালো দাগ তুলে ফেলতে লেবু খুবই উপকারি একটি উপাদান। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টুকরো লেবুর রস ঠোঁটে ভালো করে লাগান। কয়েক মাস এভাবে লেবুর রস ব্যবহার করলে আপনি নিশ্চিত উপকার পাবেন। লেবুর পাতলা টুকরোর উপর কয়েক দানা চিনি নিয়ে ঠোঁটে ঘষলেও একই উপকার পাওয়া যায়।
৩) ঠোঁটের গোলাপি ভাব ফিরে পেতে বিট খুবই উপকারী। ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতে এটা প্রাকৃতির ব্লিচ। লেবুর মতোই রাতে শুতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে বিটের রস লাগান। পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার কালো ঠোঁট ক্রমশ গোলাপি হয়ে উঠবে। বিটের রসের সঙ্গে গাজরের রস মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এটা প্রত্যেকদিন ১০ মিনিট করে ঠোঁটে লাগিয়ে ম্যাসেজ করুন। তারপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
৪)প্রতিদিন ঠোঁটে কাঁচা দুধ লাগান। ২০ মিনিট রাখুন, তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে নিন। অথবা গোলাপ জল দিয়েও ঠোঁট ধুতে পারেন। সেটা অনেক বেশী কাজে দেবে।
৫)প্রাকৃতিক ভাবে ঠোঁটের যত্ন নিতে সবচেয়ে ভালো উপাদান হল মধু। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য মধু নিয়ে আপনার ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন। প্রতিদিনের ব্যবহারে মধু আপনার ঠোঁটকে নরম রাখবে ও উজ্জ্বল করে তুলবে।
Friday, July 7, 2017
লাউ এর উপকারিতা ও গুনাগুন Gourd
গরমে নাজেহাল? যা খাচ্ছেন তাতেই অম্বল, পেটখারাপ ? লাউ খান ডালে-ঝোলে-অম্বলে। কিডনি থেকে লিভার, হার্ট থেকে স্কিন। গরমে সুস্থ থাকতে পাতে থাকুক লাউ। কোনও বিকল্প নেই লাউয়ের।
চাঁদিফাটা গরম। ঘাম ঝরছে দরদরিয়ে। শরীর থেকে হু হু করে বেরিয়ে যাচ্ছে নুন। শরীর ক্লান্ত হচ্ছে দ্রুত। এনার্জি নিঃশেষ। বাঁচার উপায় কী?
ওজন কমায়। চুল থাকে ঘন কালো। স্কিন থাকে টানটান। ঘুম হয় গভীর। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। হজমে সাহায্য করে লাউ। হাড় মজবুত রাখে। হার্ট থাকে বিন্দাস। এমনকি মানসিক চাপ কমায় লাউ।
লাউ খাবেন কীভাবে? যেভাবে খুশি খান। লাউ চিংড়ি, শোল লাউ, দেশি মুরগির লাউঝোল, লাউ ডাল, লাউ ডিম। যেমন খুশি তেমন খান লাউ। টেস্টি টেস্টি লাউয়ের হালুয়াও খাওয়া যেতে পারে। শরীর থাকবে ঠান্ডা। কারণ, লাউয়ে ভরপুর পুষ্টিগুণ।
১০০ গ্রাম লাউয়ে থাকে ২.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.২ গ্রাম প্রোটিন, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন C ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, নিকোটিনিক অ্যাসিড রয়েছে ০.২ মিলিগ্রাম। এছাড়া মিনারেল, ভিটামিন B1, ভিটামিন B2 ও প্রচুর আয়রন রয়েছে লাউয়ে।
লাউয়ে থাকে প্রচুর জল। ফলে, ডায়েরিয়ায় লাউ মহৌষধ। স্কিনের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। প্রস্রাবের সংক্রমণের সমস্যা দূর করে লাউ। কিডনির কার্যক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। যাঁদের ব্লাড প্রেশার বেশি, তাঁদের জন্য লাউ আদর্শ সবজি। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধ করে লাউ। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া দূর করে। প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের কারণে দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে লাউ। ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাউ খুব উপকারি। চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পাকা কমায় লাউ।
লাউ ইংরেজি ভাষায় - Gourd.
Saturday, July 1, 2017
কোন ত্বকের জন্য কেমন সানস্ক্রিন দরকার জেনে নিন
গরমকাল পড়তে না পড়তেই রোদের মাত্রা চড়চড় করে বাড়তে শুরু করেছে। এখনই বাড়ির বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না। ঝলসে যাওয়ার মতো রোদ উঠতে শুরু করেছে এখন থেকেই। এই গরমে ত্বককে রক্ষা করতে ছাতা এবং সানস্ক্রিন খুবই জরুরি। কিন্তু কোন ত্বকের জন্য কেমন সানস্ক্রিন জরুরি, তা আমাদের অনেকেরই সঠিকভাবে জানা নেই। অথচ ত্বক অনুযায়ী সঠিক সানস্ক্রিন বেছে নেওয়াটা খুবই জরুরি। নাহলে ক্ষতি হতে পারে ত্বকের। তাই জেনে নিন কোন ত্বকের জন্য কেমন সানস্ক্রিন সঠিক।
১) সেনসিটিভ স্কিন- যে সমস্ত সানস্ক্রিনে প্যারাবেন কিংবা অক্সিবেনজোন জাতীয় কেমিক্যাল রয়েছে, তা সেনসিটিভ স্কিনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর ফলে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড বা জিঙ্ক অক্সাইড জাতীয় উপাদান থাকা সানস্ক্রিন সেনসিটিভ ত্বকের জন্য উপকারী। সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করে এই উপাদানগুলি।
২) যে ত্বকে অ্যাকনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি- আমাদের অনেকের ত্বকেই খুব বেশি পরিমানে অ্যাকনে হতে দেখা যায়। তাঁরা তেলতেলে সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলুন। এর ফলে ত্বকে অ্যাকনের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।
৩) ড্রাই স্কিন বা শুষ্ক ত্বক- যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁরা অবশ্যই ময়শ্চারাইজিং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
৪) ফর্সা ত্বকের জন্য- উচ্চমানের SPF যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যাতে ত্বকের PH লেভেল বজায় থাকে, সঙ্গে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
৫) শ্যামলা ত্বকের জন্য- ত্বককে সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য যাঁদের শ্যামলা ত্বক, তাঁরা অতি অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করার উপায়গুলি জেনে নিন
গরমকাল পড়লেই একগাদা সমস্যা হঠাত্ করে এসে হাজির হয়। ব্রণ -র সমস্যা, গরমে ঘেমে নাজেহাল হওয়ার সমস্যা, মেকআপ গলে জল হওয়ার সমস্যা প্রভৃতি প্রভৃতি। তবে গরমে যে সমস্যা সবথেকে বেশি সমস্যা দেয়, তা বোধহয় ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যা। বহু মানুষের মধ্যে ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যা দেখা দেয়। আর এর জন্য শুধু সেই ব্যক্তিই নন, আশেপাশের অনেকেই সমস্যায় পড়েন। রাস্তা-ঘাট, ট্রেন, বাস, বাড়িতেও ঘামের দুর্গন্ধে বিরক্ত হয়ে যান চেনা পরিচিত, অপরিচিত থেকে কাছের মানুষ প্রত্যেকে। কিন্তু এর থেকে মুক্তির উপায় কোথায়? জেনে নিন কীভাবে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন।
১) দিনের দু-বার ভালো ভাবে স্নান করলে ঘাম এবং ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গরমকালে দিনে দুবার স্নান আপনার শরীরকে ঠাণ্ডাও রাখে আবার ঘামের দুর্গন্ধ থেকেও মুক্তি দেয়।
২) স্নান করে পোশাক পরার আগে শরীরটাকে ভালো করে হাওয়ায় শুকিয়ে নিন। ভেজা শরীরে কখনওই পোশাক পরবেন না। ভেজা শরীরে পোশাক পরলে, বেশি ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) আপনি স্লিভলেস পোশাক পরুন অথবা না পরুন, অবশ্যই শরীরের অবাঞ্ছিত রোমগুলি নির্মূল করুন। শরীরে অবাঞ্ছিত রোম ঘামের জন্ম দেয়, এবং তা থেকেই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
৪) স্নানের সময়ে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করে। যদি আপনার ত্বকে অ্যালার্জি কিংবা ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে, তাহলে সাবান পছন্দের সময়ে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
৫) শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে ল্যাভেন্ডার, পিপারমেন্ট, পাইন প্রভৃতির এসেন্সিয়াল ওয়েল ব্যবহার করুন। কিংবা একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্নানের জনে একটি পাতিলেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
৬) অনেক সময়ে আমাদের খাদ্যাভাসের কারণেও ঘামের দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে। তেল-ভাজা-মশলা দেওয়া খাবার শরীরে ঘাম উত্পাদন করে। ঘামের হাত থেকে রক্ষা পেতে এধরণের খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন।
৭) নাইলন কিংবা সিন্থেটিকের পোশাক একেবারেই পরবেন না। এতে ঘাম আটকে থাকে। সুতির হালকা পোশাক পরুন। সুতির পোশাক ঘাম টেনে নিয়ে শরীরকে শুকনো রাখে। জুতো পরার সময়েও সুতির মোজা পরুন।
৮) শুধু ডিওডোরেন্ট ব্যবহারেই ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি দেয় না। তার সঙ্গে অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট ব্য়বহার করুন।
৯) ভিনিগার আমাদের শরীরের pH level সঠিক রাখতে এবং ত্বকে তৈরি বিভিন্ন সমস্যাও প্রতিরোধ করে। শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ কমানোর জন্য ভিনিগার অন্যতম সঠিক উপাদান।
জানেন তরমুজ আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী?
গরমকালে জলের বিকল্প হিসেবে খুব ভালো কাজ করে তরমুজ। আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে এই ফল। শরীরে এনার্জি দেয়। আর লাল টুকটুকে তরমুজ কে না পছন্দ করেন। গরমকালে এই ফলটির চাহিদাও তেমনই থাকে। শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ ছাড়া তরমুজ আর কী কী উপকার করে জেনে নিন-
১) আমরা শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য জল পান করি। জলের বিকল্প হিসেবে শরীরকে হাইড্রেট রাখে তরমুজ। তরমুজে ৯২ শতাংশ জল থাকে। যা আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
২) তরমুজে ২১ শতাংশ ভিটামিন সি, ১৮ শতাংশ ভিটামিন এ, ৫ শতাংশ পটাশিয়াম, ৪ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম এবং ৩ শতাংশ ভিটামিন বি১, বি৫ এবং বি৬ আছে।
৩) গবেষকেরা তরমুজে এমন কিছু উপকারী উপাদান খুঁজে পেয়েছেন, যা অ্যান্টি ক্যানসার হিসেবে কাজ করে। অর্থাত্, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করেতরমুজ।
৪) সারা বিশ্বে মৃত্যুর সবথেকে বড় কারণটাই হল হৃদরোগ। সঠিক ডায়েট এবং জীবনযাপন মেনে চললে তা রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্র সঠিক রেখে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে।
৫) চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী তরমুজ। ত্বককে পরিস্কার রাখতে এবং চুলকে মজবুত করতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার।
৬) হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে তরমুজ।
Subscribe to:
Posts (Atom)
ফেসবুকের কিছু সমস্যা ও তার সমাধান
আজকাল আমরা অনেকেই নানান কাজে বেশ অনেকটা সময়েই থাকি ফেসবুকের সঙ্গে। ব্রাউজ করার সঙ্গে সঙ্গে ছবি বা ভিডিও আপলোডের বিষয়টিও চলতে থাকে। কিন্...
